ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

ফ্রান্সে নির্বাচন বদলে যাবে ইউরোপের রাজনৈতিক দৃশ্যপট

আন্তর্জাতিক | ৮ জুলাই ২০২৪, সোমবার, ৯:২০

অনলাইন ডেস্ক


জাতীয় নির্বাচনে দৃশ্যত ফ্রান্সে উগ্র ডানপন্থিরা ক্ষমতার খুব কাছাকাছি। গতকাল সেখানে নির্বাচনের পর ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় সবাই। কিন্তু চূড়ান্ত ফল পাওয়ার আগেই জনমত জরিপ বলে দিয়েছে, মেরি লা পেন এবং বার্ডোর ন্যাশনাল র‌্যালি অন্য যেকোনো রাজনৈতিক দলের চেয়ে বেশি আসন পেতে চলেছে। যদি সেটাই হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের স্বপ্নভঙ্গ করে নতুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা মেরি লা পেনের। এমন হলে ফ্রান্সে এক দশকের যে রীতি তা তছনছ হয়ে যাবে। এ দেশটি হলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি মূল দেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছাইভষ্ম থেকে জন্ম হয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের। প্রথমে যুদ্ধকালীন শত্রু- ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যে একটি শান্তি বিষয়ক প্রকল্প ছিল এটি। পরে তা সম্প্রসারিত হয়ে রূপ নেয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে। ফলে ফ্রান্সের রাজনীতি, নির্বাচন পুরো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে প্রভাবিত করতে পারে। এ জন্য ব্রাসেলস, ইউরোপের সরকারগুলো তীক্ষè নজর রাখছে ফ্রান্সের দিকে। এ নিয়ে অনলাইন বিবিসি একটি বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছে। বলা হয়েছে, মেরি লা পেন ও জর্ডান বারডেলার দল ন্যাশনাল র‌্যালি বিস্ময়কর ফল দেখানোর পর বলা হচ্ছে ন্যাশনাল র‌্যালির সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সম্ভব অথবা সম্ভব না। রোববারের দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে ন্যাশনাল র‌্যালিকে পরাজিত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ফ্রান্সের মধ্য ও বামপন্থি দলগুলো। তারা একজন মাত্র প্রার্থী রেখে বাকিদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু এই নির্বাচনের প্রভাব সিসমিক বা কম্পন সৃষ্টি করবে। তাতে ন্যাশনাল র‌্যালি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাক বা না পাক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমপন্থি দলটির তরুণ প্রেসিডেন্ট জর্ডান বারডেলা ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হোন বা না হোন- নির্বাচন সেখানে কম্পন সৃষ্টি করবে। এর আগে ইউরোপের রাজনীতির বাইরে ছিটকে পড়েছিল উগ্র ডানপন্থি দলগুলো। জার্মানির নাৎসিদের পরাজিত করতে নরম্যান্ডিতে মিত্রদের অবস্থানকে ডি-ডে হিসেবে অভিহিত করা হয়। এর ৮০তম বর্ষ উদ্যাপনের জন্য গত মাসে ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে সমবেত হয়েছিলেন বিশ্ব নেতারা। কিন্তু বর্তমানে নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও ফিনল্যান্ড সহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অনেক দেশে জোট সরকারের অংশীদার ‘উগ্র ডানপন্থি’, ‘কট্টর ডানপন্থি’ অথবা ‘জনপ্রিয় জাতীয়তাবাদীরা’। এই দলগুলোর পক্ষে সাফাই গাওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ঘন ঘন তাদের নীতি পরিবর্তন হয়। দেশ থেকে দেশে তা ভিন্ন ভিন্ন। তাদেরকে নর্মালাইজেশন বা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আনা পুরোপুরি নতুন ঘটনা নয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে মধ্য-ডানপন্থি রাজনীতিক ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি এমন প্রথম নেতা ছিলেন। তিনি এতে নিমজ্জিত হয়েছেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ফ্যাসিস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক গ্রুপ মুভিমেন্টো সোশ্যালে ইতালিয়ানো’র সঙ্গে সরকার গঠন করেছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: মামুন বিন আবদুল মান্নান

৫ম তলা, স্কাইলার্ক পয়েন্ট ভবন , বিজয়নগর, ঢাকা ১২১২।
ইমেইল: bangladeshtimeline007@gmail.com