
মোদির ১৭৩টি বক্তৃতার মধ্যে ১১০টিতেই মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
আন্তর্জাতিক | ১৬ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবার, ১:০৯
অনলাইন ডেস্ক
ভারতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মার্চ মাসে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচারে বেড়িয়ে যে ১৭৩টি বক্তৃতা দিয়েছেন তার মধ্যে ১১০টিতে ইসলামফোবিক মন্তব্য রয়েছে। আমেরিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একথা জানিয়েছে। ১৪ আগস্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে , আপাতদৃষ্টিতে এই মন্তব্যগুলো রাজনৈতিক বিরোধিতাকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। মোদি প্রচারে দাবি করে এসেছেন , বিরোধীরা শুধুমাত্র মুসলিম অধিকারগুলো নিয়ে গলা ফাটিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি ও বিভ্রান্তি তৈরি করতে চেয়েছে। '
মোদি সম্প্রতি বলেছিলেন যে, তিনি বাংলাদেশের মাটিতে হিন্দু এবং অন্যান্য সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আশা করেন। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করছে যে, এই বছরের শুরুতে মোদির নির্বাচনী প্রচারাভিযানে প্রায়ই ভারতে মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য ব্যবহার করা হয়েছে ।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবরের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলেন। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় মোদির প্রচারাভিযানের বক্তৃতাগুলো ভীষণভাবে সমালোচিত হয়েছিল। রাজস্থানের একটি সভায় গিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস বলেছিল দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অধিকার সকলের আগে। দেশের সম্পদ বন্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। কংগ্রেসের ইশতেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গয়নার হিসেব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।” এখানেই শেষ নয়।