
মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা আওয়ামী লীগকে কীভাবে ডিল করবো?
জাতীয় | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৩:০২
অনলাইন ডেস্ক
'শুট অন সাইট' বা দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়ে সরাসরি একটি গণহত্যায় অংশ নেয়া দলের পরিণতি হয় নিষিদ্ধ হওয়া নতুবা গণবিচারের মুখোমুখি হওয়া। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে অবধারিতভাবে দুটির একটি কিংবা উভয়টির মুখোমুখি হতে হবে। যেহেতু আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা পর্যাপ্ত অপরাধ করেছেন । বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের অপরাধগুলোকে তিনটা শ্রেণিতে বিভক্ত করা যাবে-
১। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ কিংবা গণতন্ত্র হত্যা জনিত অপরাধ।
২। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত অপরাধ
৩। ছাত্র জনতার গণহত্যা সংশ্লিষ্ট অপরাধ
এজন্য তিনটি বিশেষ ট্রাইবুনাল হবে। দ্রুত বিচার নয়, নিয়মতান্ত্রিক কিন্তু ইফিশিয়েন্ট ট্রাইব্যুনাল।
প্রথম ধারার অপরাধের বিচারে 'গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধের বিচার ট্রাইব্যুনাল' হবে। এখানে বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, মিছিলে সভা সমাবেশের হামলা, কার্যালয়ে তালা সহ যেকোনো বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বন্ধ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, সাংবাদিক নির্যাতন, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির জন্য একটি বিশেষ ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সকল বৈধ রাজনৈতিক দল নিধনে, ভাঙনে, বিদ্যমান দলের মিরর কিংস পার্টি করা, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি হামলা মামলা জেল, গায়েবি মামলা, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে গুম খুন বিচারবহির্ভূত হত্যা তথা ক্রসফায়ার ইত্যাদির বিচার হবে এখানে। পাশাপাশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন, রাতের ভোটের নির্বাচন, ভোট জালিয়াতি ইত্যাদির বিচার হবে।
এখানে স্পষ্টভাবে বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে, এবং বিগত ১৫ বছরের সকল স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রাপ্ত এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আগামী ১৫ বছর সব ধরনের জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে। গণতন্ত্র হত্যার অপরাধে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৩ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া সকল আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের আগামী তিন টার্ম পর্যন্ত নির্বাচন নিষেধাজ্ঞা দেয়া যাবে।