
একজন প্রভাবশালীর নাতির কাণ্ড
সারাদেশ | ১১ মে ২০২৪, শনিবার, ১২:৪০
অনলাইন ডেস্ক
৭ই মে রাত আনুমানিক ৮টা। ঘটনাস্থল গুলশান ৯০ নম্বর সড়কের ইউনাইটেড ন্যাশনস হাইকমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচআর) অফিসের সন্নিকটে পলাশের চায়ের দোকানের সামনে। ওই সড়কের নেদারল্যান্ড অ্যাম্বাসি প্রান্ত থেকে আসছিল একটি প্রাইভেটকার। প্রাইভেটকারের ভেতরে চালকসহ আরও ৪-৫ জন যাত্রী ছিলেন। একই সময় ৮৬ নম্বর সড়ক দিয়ে আসা একজন বাইসাইকেল চালক ৯০ নম্বর সড়কে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কিছুটা গতিতে আসা প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাইসাইকেলের। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি। তাদের বাকবিতণ্ডায় সড়কে যানজট ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলের পাশেই অবস্থান করছিলেন মিশর দূতাবাসে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মোরসালিন। তিনি তার এক সহকর্মীকে নিয়ে ছুটে এসে প্রাইভেটকারের চালকের আসনে থাকা ব্যক্তিকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে তাই রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
কিন্তু তার কথায় ওই চালক কর্ণপাত করেননি। তখন কিছুটা উচ্চস্বরে মোরসালিন তাকে সরে যাওয়ার জন্য বলেন। একইসঙ্গে তিনি তার বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে বাইসাইকেলের ক্ষতি করার বিষয়টি উল্লেখ করেন। মোরসালিনের কথা শুনে চটে যান ওই ব্যক্তি। তাদের মধ্যেও শুরু হয় কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মোরসালিনকে মারধর করতে থাকেন। কলার চেপে ধরায় পাশের একজন চা দোকানি এসে বাধা দেন। পরে তিনিও মারধরের শিকার হন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় মোরসালিন মারধর থেকে বাঁচার জন্য মিশর দূতাবাসের দিকে দৌড় দেন। এসময় প্রাইভেটকারে থাকা উত্তেজিত ব্যক্তিও তার পেছন পেছন গিয়ে আবার মারতে থাকেন। মারধরের কারণে মোরসালিনের গায়ে থাকা পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে যায়। তখন সেখানে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা ওই ব্যক্তিকে কিছুক্ষণ আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গুলশান থানা পুলিশ। তারা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে আরও দু’টি গাড়ি আসে। সেই গাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে আসার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।