ঢাকা, ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার

অবিশ্বাস্য জয়ে ভারতের বিশ্বজয়

খেলা | ৩০ জুন ২০২৪, রবিবার, ১২:১৮

অনলাইন ডেস্ক


বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালের গ্যালারি ভারতীয়দের দখলে। তখন দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ স্টেডিয়ামে বড় পর্দায় নতুন দিনের অপেক্ষায় প্রোটিয়া ভক্তরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয় সাগর জয় করে ভারতে ট্রফি ফিরিয়ে নিয়ে গেল রোহিত শর্মার দল। হ্যাঁ, ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো দলটির। সবশেষ ২০০৭-এ দক্ষিণ আফ্রিকারই মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের প্রথম শিরোপার মুখ দেখেছিল ভারত। এরপর নানা হাত ঘুরে তা চলে যায় ইংল্যান্ডে। অন্যদিকে ২৬ বছর আগে ১৯৯৮-এ আইসিসি’র কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে শিরোপা স্বাদ পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। এবার সুযোগ এসেছিল তাদের সেই আক্ষেপ মেটানোর। কিন্তু প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ফাইনালে ওঠা মার্করামের দল শেষ পর্যন্ত ইতিহাস বদলাতে পারলো না। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। সেখান থেকে বিরাট কোহলির ৭৬ রানের অসধারণ এক ইনিংসে প্রোটিয়াদের ১৭৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয়। জবাব দিতে নিতে নিয়মিত বিরতে উইকেট হারালেও ঝড় তোলেন হেনরিক ক্লাসেন। ৫টি ছয়ের মারে ২৭ বলে করেন ৫২ রান। ভারতের হাত থেকে ম্যাচ প্রায় বের হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বুমরা, পান্ডিয়া আর আর্শদ্বীপের অসাধারণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পায় ৭ রানে। শেষ ওভারে ৬ বলে ১৬ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি ডেভিড মিলাররা। শেষ ওভারের প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়াকে উড়িয়ে মারলেন ডেভিড মিলার। একটা সময় মনে হচ্ছিল ছক্কা। কিন্তু লং অফ থেকে বাঁদিকে দৌড়ে এসে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিলেন সূর্যকুমার যাদব। ১৭ বলে ২১ রান করলেন মিলার। তাতে প্রায় শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার আশা। শেষ ৫ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার চাই ১৬ রান। সেখান থেকে আর জয়ের পথ খুঁজে পায়নি প্রোটিয়ারা। তার আগে মার্কো ইয়ানসেনের বিদায়ের পর চাপে পড়ে গেল দলটি। জাসপ্রিত বুমরাহর করা ১৮তম ওভারে শুধু নিতে পারল ২ রান। উইকেটের খোঁজে বুমরাহর হাতে বল তুলে দিলেন রোহিত শর্মা। অধিনায়ককে হতাশ করেননি তিনি। চমৎকার বোলিংয়ে মার্কো ইয়ানসেনকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরেন এই পেসার। বুমরাহর ভেতরে ঢোকা বলের লাইনেই যেতে পারলেন না ইয়ানসেন। তার লেগ স্টাম্পে হালকা ছুঁয়ে বেলস ফেলে দিলো বল। উল্লাসে মাতলো ভারত। ৪ বলে ২ রান করে ফিরলেন ইয়ানসেন। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। ১৯তম ওভারে আর্শদিপ সিংও করলেন দুর্দান্ত বোলিং। সেই ওভারে আসে শুধুমাত্র ৪ রান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: মামুন বিন আবদুল মান্নান

৫ম তলা, স্কাইলার্ক পয়েন্ট ভবন , বিজয়নগর, ঢাকা ১২১২।
ইমেইল: bangladeshtimeline007@gmail.com