ঢাকা, ৭ জুলাই ২০২৫, সোমবার

জাইমা রহমান: রাজনৈতিক উত্তরাধিকারের আলোকবর্তিকা

রাজনীতি | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ১০:৫১

হামিদুল নাসির


জাইমা রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একমাত্র কন্যা। তিনি শুধু একটি রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরাধিকারী নন, বরং তার ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা ও সামাজিক অবদান তাকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত 'ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট' অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যা তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করে। ব্যক্তিগত জীবন ও শিক্ষা জাইমা রহমান ১৯৯৫ সালের ২৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মাতা ডা. জোবায়দা রহমান। তিনি ঢাকার আইএসডি স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৯ সালে তিনি লন্ডনের ইনার টেম্পল থেকে বার অ্যাট-ল ডিগ্রি লাভ করেন, যা তাকে একজন যোগ্য ব্যারিস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। রাজনৈতিক পরিবার ও প্রভাব দাদা দাদি: জাইমা রহমানের পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী। তার দাদা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, সাবেক সেনা প্রধান সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং দাদী বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এই রাজনৈতিক উত্তরাধিকার তাকে ছোট বেলা থেকেই রাজনীতির সাথে পরিচিত করে তুলেছে। যদিও তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় নন, তার পরিবারের প্রতি তার গভীর ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ তাকে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করছে। নানা নানি : জাইমা রহমানের নানা হলেন রিয়ার এডমিরাল মাহবুব আলী খান, তিনি বাংলাদেশের সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী ছিলেন। মাহবুব আলী খানের বাবা প্রথম মুসলিম ব্যারিষ্টার আহমেদ আলী খান। যিনি ১৯০১ সালে ব্যারিস্টার হন। তিনি নিখিল ভারত আইন পরিষদের সদস্য ( এম এল এ) ও আসাম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পারিবারিক জেনেটিক কানেকশন। জাইমা রহমানের মত এমন ভাগ্যবান মানুষ খুব কম হয়। পিতা ও মাতার পারিবারিক উচ্চতম জেনেটিক কানেকশন। শত শত বছরের শিক্ষা মেধা ও রাজনৈতিক মননে গড়ে উঠা জাইমা রহমান। সাম্প্রতিক কার্যক্রম ২০২৫ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত 'ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট' অনুষ্ঠানে জাইমা রহমান বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করেন। এই অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। তার এই অংশগ্রহণকে রাজনৈতিক মহলে তার আনুষ্ঠানিক রাজনীতিতে প্রবেশের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামাজিক অবদান জাইমা রহমান শুধু রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য নন, তিনি সামাজিক কাজেও সক্রিয়। তার জন্মদিনে বগুড়ায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও চক্ষুসেবা প্রদানের মতো মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, যা তার সামাজিক দায়িত্ববোধের পরিচয় দেয়। ভবিষ্যতের সম্ভাবনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জাইমা রহমান বিএনপির ভবিষ্যত নেতৃত্বের অন্যতম দাবিদার। তার শিক্ষা, ব্যক্তিত্ব ও পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ তাকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য উপযুক্ত করে তুলেছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি থেকে তারুণ্যের প্রতিনিধি হিসেবে দলীয় প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। পরিশেষে। জাইমা রহমান শুধু একটি রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরাধিকারী নন, বরং তার ব্যক্তিত্ব, শিক্ষা ও সামাজিক অবদান তাকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। তার সাম্প্রতিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা তাকে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের এই আলোকবর্তিকা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারেন। লেখক : আয়ারল্যান্ড বিএনপির সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক: মামুন বিন আবদুল মান্নান

৫ম তলা, স্কাইলার্ক পয়েন্ট ভবন , বিজয়নগর, ঢাকা ১২১২।
ইমেইল: bangladeshtimeline007@gmail.com